ভূমিকা
ও হেনরি লিখিত 'দি ক্যাকটাস' ছোট গল্পটি তাঁর ১৯১৭ সালে প্রকাশিত 'ওয়েফস এন্ড ষ্ট্রেস' গল্পগুচ্ছের অন্তর্গত। গল্পটি তাঁর বুদ্ধিদীপ্তি, শব্দক্রীড়া এবং বাঁকা সমাপ্তির জন্য পরিচিত।
চরিত্র
- ত্রিশডেল
- তার বন্ধু
সারাংশ
"দি ক্যাকটাস" গল্পটি হল ত্রিশডেল নামে একটা লোকের উপর যে তার সম্পর্কের ব্যর্থতার কারণ অনুধাবন করার চেষ্টা করছে, যখন তার ভালোবাসার মহিলাটির বিবাহ অনুষ্ঠানের মধ্যে সে অতিথি রূপে উপস্থিত হয়েছে। গল্পের জট আসতে আসতে খুলতে থাকলে আমরা বুঝতে পারি যে ত্রিশডেলের গর্ব ও আত্মাভিমান একটি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে যা তার সম্পর্কের ইতি টেনে দেয়।
গল্পের শুরুতে ত্রিশডেল দুঃখ ও অনুতাপে দগ্ধ হতে থাকে যখন সে দেখে তার প্রাক্তন প্রেমিকা অন্য একটি পুরুষের হাত ধরে বিবাহ মধ্য দিয়ে চিরকালের জন্য তার কাছে পর হয়ে যায়। সে মনে করার চেষ্টা করে কোথায় তার ভুল হয়েছিল, যে তার প্রিয়তমা তাকে এত বড় শাস্তি দিল। তাদের কোন কথা কথিত বিচ্ছেদ হয়নি না হয়েছিল কোন ঝগড়া। পুরানো স্মৃতির মন্থন করতে করতে, তার মনে পড়ে এরকম একটি কথাবার্তার মাঝে সে জিজ্ঞাসা করেছিল যে সে শুনছে ত্রিশডেল নাকি স্প্যানীশ বলতে পারে। কথাটা আসলে অর্ধসত্য, সে খান কতেক প্রবাদ জানত কিন্তু সে শিকার করে যে সে জানে স্প্যানীশ। তাদের মধ্যে একটা ভালো লাগা গড়ে উঠছিল, কিন্তু তাকে সেই মুহূর্তে কোন উত্তর না দিয়ে, পরের দিনের অপেক্ষা করতে বলে।
পরের দিন তার বর্তমান স্বামীর হাত দিয়ে একটা অদ্ভুত দেখতে ক্যাকটাস লাল মাটির টবে করে পাঠায়। যার গায়ে বিদেশী ভাষায় একটা নোট লেখা ছিল, বোধহয় গাছটির নাম। এই উপহার ছাড়া কোন উত্তর আসে না, আসতে আসতে তার প্রেমিকার ব্যাবহারের মধ্যে একটা আন্তরিকতার অভাব বেড়ে উঠে। আর কোন বিচ্ছেদ ছাড়াই চীর বিদায় দিয়ে আজ চিরকালের মত দূরে চলে গেল। এই সব যখন ভাবছে, তখন তার প্রেমিকার দাদা যে ত্রিশডেলের বন্ধুও বটে অন্য ঘর থেকে জিজ্ঞাসা করে, সে কেন এত মন মরা যেন তারই বিয়ে হয়ে গেল। সে তার একমাত্র ছোট্ট বোনকে বিদাই করে এত দুখী নয় বরং নিশ্চিন্ত। এইরকম টুকিটাকি খুনসুটির মাঝখানে সেই ক্যাকটাসটা দেখতে দেখতে জিজ্ঞাসা করে যে, সে এটা কোথায় পেল। যেটার উত্তরে সে জানলে যে ওটা একটা উপহার ছিল, গাছটার ব্যাপারে আরও জানতে চায়। তার বন্ধু ল্যাটিন আমেরিকায় কর্মসুত্রে থাকার দরুন, সেই গাছটাকেও চিনতে পারে এবং ট্যাগটা পড়ে গাছটার স্প্যানীশ নামটা বলে ভেনিটোমামে যার বাংলা করলে দাড়ায় - ‘এসো আমায় নিয়ে যাও’।
থিম এবং বিশ্লেষণ
এই গল্পের তিনটি মূল থিমগুলি হল:
- গর্ব ও আত্মাভিমান - ত্রিশডেলের সমানে নিজেকে মহান ও জ্ঞানী করার ভান তার স্বপ্নভঙ্গ করল।
- ভুল বোঝাবুঝি - এই গল্পের মূল বোঝাবুঝি আলোকপাত করে যে সততাপূর্ণ সংযোগের অভাবে কতটা বিধ্বংসী পরিণতি হতে পারে।
- অনুশোচনা ও প্রতিফলন - গল্পটির ত্রিশডেলের আত্মদর্শন ও ব্যাথা পাওয়াটাকে আলোকিত করেছে।
ক্যাকটাসটি সম্পর্কের গতানুগতিক জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝির নিদর্শন। তার কতগুলি হল ভালোবাসার ব্যাথা পাওয়ার দিক এবং সম্পর্কে প্রতারণা ও অহংকারের পরিণামের দুটোরই প্রতীক। ও হেনরি বিশেষত্ব - ব্যাঙ্গারতক সমাপ্তি আর মানব ব্যবহারের সুক্ষ বিশ্লেষণ, দুটোই পাওয়া যায় এই গল্পে। ত্রিশডেল নিজের আত্মাভিমানে তার প্রেমিকা জিজ্ঞাসা করে উঠতে পারল না, ওই গাছটার মানে। তার প্রেমিকাও তার নিরুত্তর মনোভাবকে তার প্রেমের প্রত্যাখান বলে ধরে নিয়েছে। এটা ক্যাকটাশটি কাটায় আঘাত পাওয়া মতই মর্মান্তিক পরিণতি। একটি প্রেমের ফুল প্রস্ফুটিত হবার আগেই ক্যাকটাশের ন্যায় কাটায় পরিপূর্ণ হয়ে গেল, অহংকার ও ভুল বোঝাবুঝি কারণে।
